২০১৩ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি পরিসংখ্যান আইন মহান জাতীয় সংসদে পাশ হওয়ার মধ্যদিয়ে পরিসংখ্যান আইন-২০১৩ প্রণয়ন।
দেশের পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে National Strategy for Development of Statistics (NSDS) প্রণয়ন করা হয়।
বর্তমান সরকারের Digital Vision কে সামনে রেখে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সকল শুমারি ও জরিপের বিভিন্ন তথ্যসমূহ সার্ভারে সংরক্ষণ করে Web enable GIS based Information System এর মাধ্যমে বিভাগ, জেলা, উপজেলা/থানা, ইউনিয়ন ও মৌজাভিত্তিক তথ্য digital পদ্ধতিতে Graphycally উপস্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন মৌজা, ইউনিয়ন, থানা/উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের জনতাত্ত্বিক তথ্য ও উপাত্তকে GIS map এর মাধ্যমে উপস্থাপন ও তথ্য-সেবা প্রদানে। Geo-Master file বিবিএস কর্তক সংরক্ষিত হয় এবং সরকারের অন্যান্য সংস্থার কাজে এ কোড ব্যবহার হয়।
বাংলাদেশের প্রশাসনিক বিভাগ, জেলা, উপজেলা/থানা, ইউনিয়ন, মৌজা, গ্রাম, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, মহল্লা ও key Point Installation এর নাম বাংলা ও ইংরেজিতে শুদ্ধ ও সুনির্দিষ্টকরণ, এ সকল সুনির্দিষ্ট নামের একটি আইনগত মর্যাদা (Legal Status) প্রদান, জিও কোড নম্বর প্রদান করার জন্য স্ট্রেনদেনিং জিও কোডিং সিস্টেম কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
জিআইএস Software ব্যবহার করে সকল মৌজা/মহল্লার ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। GIS map এর কারণে যেকোন এলাকায় ম্যাপ ভিত্তিক তথ্য উপস্থাপনের কাজ সহজ হয়েছে। এই ম্যাপ ব্যবহারের ফলে শুমারির কভারেজ বেড়েছে এবং শুমারি ও জরিপের গুণগতমানের উন্নতি হয়েছে।
দেশের ক্ষুদ্র এলাকা ভিত্তিক দারিদ্র হার নির্ণয় ও সরবরাহের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক এবং জাতিসংঘের বিশ্বখাদ্য কর্মসূচী এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বিবিএস ২০১০ সালে বাংলাদেশ পোভার্টি ম্যাপ প্রণয়ন করেছে। ফলে সরকারের উন্নয়ন ও সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদানের নিমিত্ত এই ম্যাপটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো স্যাম্পল ভাইটাল রেজস্ট্রেশন সিস্টেম জরিপ পরিচালনা করে নিয়মিতভাবে বার্ষিক প্রক্ষেপিত জনসংখ্যা, জন্মহার, মৃত্যুহার, শিশু মৃত্যুহার, মাতৃ মৃত্যুহার, প্রত্যাশিত গড় আয়ু, বিবিহ/তালাকের হার, আগমন-বর্হিগমনের হার, জন্ম নিরোধক ব্যবহার হার ও প্রতিবন্ধি হার ইত্যাদি প্রকাশ করে থাকে।